ঢাকাই চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয় নায়ক শাকিব খান। এই নায়কের সঙ্গে প্রযোজক ও নির্মাতা মোহাম্মদ ইকবালের বন্ধুত্ব শোবিজ পাড়া থেকে শুরু করে এর বাইরেও সবারই জানা। এই নায়কের নানা বিপদে পাশে ঢাল হিসেবে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তাকে। তবে তাঁদের মাঝের সেই মধুর সম্পর্ক এখন শুধুই অতীত।
সময়টা ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস। সেই সময় সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল শাকিব-অপুর বিয়ে। এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এ দেশের পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পীদের বেকার বলেছিলেন শাকিব খান। পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে তিনি বলে আসছিলেন, বাংলাদেশে কোনো ভালো টেকনিশিয়ান নেই। যার ফলশ্রুতিতে শাকিব খানের সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিসহ চলচ্চিত্রের ১২টি সংগঠন।
তাদের বক্তব্য ছিল যে শাকিব খান দেশের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কুশলীদের তুচ্ছজ্ঞান করেছেন। কারণ পরিচালকই হচ্ছেন ‘ক্যাপ্টেন অব দ্য শীপ’। তাদের অপমান করা মানে কুশলীদের অপমান করা। তাই চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনের সদস্যরা অনির্দিষ্টকালের জন্য তার সাথে কোনো সিনেমার শুটিং ও ডাবিংয়ের কাজে অংশগ্রহণ করবেন না।
সংগঠনগুলোর এমন সিদান্তের পর বেশ কোন ঠাসা হয়ে পড়েন শাকিব খান বলা চলে এক প্রকার কাজহীন হয়ে পরেন তিনি। সেই সময় বন্ধুর বিপদে পাশে এসে দাঁড়ান প্রযোজক ও নির্মাতা মোহাম্মদ ইকবাল। সেই সময় নানা চেষ্টার পর মোহাম্মদ ইকবাল আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন দিপু চৌধুরীর সহযোগিতা নিয়ে ফের শাকিব খানকে কাজে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। যদিও শাকিব খান এখন তা মানতে নারাজ।
শাকিব খানের হয়তো মোহাম্মদ ইকবালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলে গেছেন। যার প্রমাণ মিলে সাজেদুল হোসেন দিপু চৌধুরীর মৃত্যুর পর শাকিবের দেয়া একটি স্ট্যাটাসে। যেখানে তিনি দিপু চৌধুরীকে কাছের বন্ধু উল্লেখ করলেও মোহাম্মদ ইকবালের মাধ্যমেই যে তার পরিচয় তা উল্লেখ করেনি।
Discussion about this post