ঢাকা: জাতির ক্রান্তিকালে যখনই প্রয়োজন হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সংবিধানকে রক্ষা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার। আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত ‘সাউথ এসিয়ান কনস্টিটিউশনাল কোর্ট ইন দ্য টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি: লেসন ফ্রম বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, আদালতের হস্তক্ষেপগুলো যেন সাংবিধানিকতার নীতি, ক্ষমতা ভারসাম্য এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পরিচালিত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এসময় বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রেখে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিত প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বিচার বিভাগকে সামিল হতে হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, অবৈধভাবে সংসদকে ব্যবহার করে সংবিধানের ৫ম ও ৭ম সংশোধনী পাসের মাধ্যমে তাদের সমস্ত কুকীর্তিকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করেছিল স্বৈরশাসকেরা। কিন্তু সংবিধানের ৫ম ও ৭ম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মো. সাহাবুদ্দিন আরও বলেন, সংবিধানবিরোধী ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতির পিতার হত্যাকারীরা ভেবেছিল আর কখনো তাদের বিচার হবে না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ষড়যন্ত্রকারীদের সেই নীল নকশা বাস্তবায়িত হতে দেয়নি। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে সংবিধানবিরোধী ঘোষণা এবং জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার করে সুপ্রিম কোর্ট তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করেছে। এসময় রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সাংবিধানিক আদালত হিসেবে পারস্পরিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার বিনিময় উভয় দেশের সাংবিধানিকতা ও সাংবিধানিক আইনকে দেবে অনন্যমাত্রা।
Discussion about this post