আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আল শিফা হাসপাতালে গোপন সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের মাধ্যমে হামাস যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘(আল শিফা) হাসপাতালের ভেতরে তারা লুকিয়েছিল। হাসপাতালকে সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা যুদ্ধাপরাধ এবং তারা (হামাস) সেটাই করেছে।’ ‘এ থেকে ধারণা করা যায় যে ইসরায়েলে ফের হামলা করার পরিকল্পনা তাদের আছে। তারা থেমে যাবে এবং কিছু করা থেকে বিরত থাকবে— এমন ধারণা বাস্তবসম্মত নয়।’ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ২ টার দিকে উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা সেই অভিযান শেষে হাসপাতালের গোপন স্থান থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং কমব্যাট গিয়ারসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সামরিক সরঞ্জাম পাওয়া গেছে হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, হাসপাতালের গোপন স্থানে পাওয়া এসব অস্ত্র-গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম হামাসের এবং ইসরায়েল সেগুলো জব্দ করেছে। ইসরায়েলের আপত্তির কারণে গত ৭ অক্টেবার হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে জ্বালানি প্রবেশ করতে পারছে না গাজা উপত্যকায়। জ্বালানি সংকটের কারণে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকেই চিকিৎসা সেবা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আল শিফা হাসপাতালে। এমনকি ওষুধ ও চিকিৎসাসেবার অভাবে গুরুতর অসুস্থ ও বয়স্ক রোগীদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছিল হাসপাতালটিতে। রোব এবং সোমবার হাসপাতাল চত্বরে মোট ১৭৯ জন মৃত রোগীকে দাফন করা হয়েছে। তবে তারপরও রোগী ছিলেন হাসপাতালটিতে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইসরায়েলি সেনারা যখন অভিযান শুরু করে, তখনও ৬৫০ জন রোগী আল শিফায় ভর্তি ছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন অন্তত অন্তত ৫ থেকে ৭ হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি, যারা ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর টানা বোমা বর্ষণে ঘর-বাড়ি হারিয়ে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া হাসপাতালটির ১ হাজারেরও বেশি ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীও আল শিফায় আটকা পড়েছিলেন ইসরায়েলি অভিযানের সময়। তবে বুধবারের বিবৃতিতে বাইডেন দাবি করেছেন, ইসরায়েলি সেনারা অভিযানের আগে স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তার প্রতি সচেতন ছিলেন।
Discussion about this post