ঢাকা: বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উত্তরা থেকে টঙ্গী রেলগেট উড়াল সড়ক এবং টঙ্গী সেতুর একাংশ যান চলাচলে খুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব লেন ও সেতু উন্মুক্ত করে দেন। এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গাজীপুরের মানুষের দুর্ভোগ কমানোর জন্য ঢাকামুখী দুটি লেন খুলে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। কিন্তু সরকার কাজের মাধ্যমে সেই সমালোচনার জবাব দিয়েছে।’ আগামী মে থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহে বিআরটি প্রকল্পটি উদ্বোধন হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সোমবার একসঙ্গে ১০০টি ব্রিজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) মেয়র আসাদুর রহমান কিরন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক গাসিক মেয়র অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান। ২০ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ বিআরটি লেনের সাড়ে চার কিলোমিটার থাকবে উড়াল সড়কে। বাকি ১৬ কিলোমিটার বিআরটি লেন মাটির সমতলে নির্মিত হচ্ছে। মাঝে ১৭৫ মিটার দীর্ঘ ১০ লেনের টঙ্গী সেতু রয়েছে। সেতু ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। এ অংশের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মহিরুল ইসলাম খান জানান, উত্তরা থেকে টঙ্গী রেলগেট পর্যন্ত উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য দুই দশমিক দুই কিলোমিটার। চালু হওয়া ফ্লাইওভার ও সেতুর দুই লেন টঙ্গী থেকে ঢাকামুখী যানবাহন ব্যবহার করবে। টঙ্গী সেতুর ঢাকামুখী পুরনো সেতু অপসারণ এবং সেখানে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ঢাকা থেকে টঙ্গীমুখী যানবাহনকে পুরনো সেতু ব্যবহার করতে হবে। বিআরটি প্রকল্পটি ২০১২ সালে সরকারের অনুমোদন পায়। এ পদ্ধতিতে সড়কের মাঝে দুই লেনে চলবে শুধু বিশেষায়িত বাস। ২০১৬ সালে বিআরটি চালুর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে।
Discussion about this post