শ্যামনগর(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় মধ্যরাতে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার আনুমানিক রাত ১টার দিকে গাবুরার ৯নং সোরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত নারী ৯নং সোরা গ্রামের খালেক গাজীর ছেলে ইসমাইল গাজীর স্ত্রী তাসকিয়া খাতুন। নিহতের মেঝো জা পারুল জানান, নিহত নারী তাসকিয়া খাতুন তার সেজো দেবরের স্ত্রী। সংসারে অভাব অনটনের কারণে আমার দেবর বিভিন্ন জেলায় দিনমজুরের কাজ করেন, এমনকি ঢাকায় রিকশা চালান। তার দুই ছেলে আছে। তাসকিয়া দুই ছেলে নিয়ে বাড়িতে থাকে। তিনি আরো জানান, রাত ১টার দিকে তাসকিয়ার দুই ছেলে ঘরের মধ্যে অনেক সময় ধরে কান্নাকাটি করছিল। তাই শুনে আমি ওদের ঘরে গিয়ে দেখি তাসকিয়া ঘরে নেই। ছেলে দুটি খাটের উপর বসে কাঁদছে। এমন সময় আমার স্বামী ও বড় ভাসুর আমাকে বলেন তাসকিয়া বাথরুমে গেছে কি না দেখতে। কিন্তু বাথরুমে না পেয়ে হঠাৎ বাড়ির বাইরে লাইট মারতেই দেখি তাসকিয়া বাইরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সাথে সাথে আমি চিৎকার দিয়ে আমার স্বামী ও ভাসুরকে ডাকি। এলাকা সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের সোলায়মান খার ছেলে সাহেব আলী (২৫) প্রায় তাসকিয়াকে অনৈতিক প্রস্তাব দিতো। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এই নৃশংস ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, ইসমাইল একজন সহজ-সরল ও ভালো মানুষ। তার সরলতার সুযোগ নিয়ে ও ইসমাইল এবং সাহেব আলীর শ্বশুর বাড়ী একই এলাকায় হওয়ায় সাহেব আলী ইসমাইলের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। সাহেব আলী এক পুত্র সন্তানের জনক। গত কয়েক দিন আগে তার স্ত্রী সন্তান বাপের বাড়িতে বেড়াতে গেছে। ঘটনার পর থেকে সাহেব আলী পলাতক রয়েছে। এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাহেব আলীর মা ফাতেমা বেগমকে থানায় নিয়ে এসেছে। শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, হত্যার রহস্য উন্মোচনে পুলিশ কাজ করছেন।
Discussion about this post