ঢাকা : নয় জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানের হাতে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২’ তুলে দিয়েছেন হস্তান্তর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চ থেকে নেমে দুই মুক্তিযোদ্ধা সিরাজউদ্দিন আহমেদ ও আবদুল জলিলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পরে তিনি পুরস্কার পাওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ফটো সেশনে অংশ নেন পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আবদুল জলিল, সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, মরহুম মোহাম্মদ সাহিউদ্দিন বিশ্বাস এবং মরহুম সিরাজুল হক। এছাড়া ‘মেডিকেল’ ক্যাটাগরিতে অধ্যাপক কণক কান্তি বড়ুয়া ও অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম এবং ‘স্থাপত্য’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন প্রয়াত স্থপতি সৈয়দ মঈনুল ইসলাম। দুটি প্রতিষ্ঠানে মধ্যে বাংলাদেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে এবং ‘গবেষণা ও প্রশিক্ষণ’ বিভাগে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান একটি স্বর্ণপদক, একটি সার্টিফিকেট এবং সম্মানী চেক পেয়েছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে অধ্যাপক কণক কান্তি বড়ুয়া অনুষ্ঠানে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। গত ১৫ মার্চ জাতীয় পর্যায়ে গৌরবময় ও অসাধারণ অবদানের জন্য ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য চূড়ান্ত করে সরকার। পরে সাহিত্য বিভাগে পুরস্কারের জন্য মনোনীত আমির হামজার নাম বিতর্কের মধ্যে বাদ পড়ে যায়। বাংলাদেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনতে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য বুধবার স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের নাম মনোনীত করা হয়। সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।
Discussion about this post