আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কে ভূমিকম্পের আঘাতের রেশ কাটকে না কাটতেই এবার ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছে ওই এলাকাটি। এই বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে তলিয়ে গেছে দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের অসংখ্য ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। বন্যাযর সময় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকার লোকজন দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে তাবু ও কন্টেইনারে অবস্থান করছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বাড়তে থাকা কর্দমাক্ত পানির শক্তিশালী স্রোতে ভেসে যাচ্ছেন অনেকে। ভেসে যাচ্ছে আশেপাশে রাখা গাড়ি ও তাবু। জানা যায়, বন্যায় দক্ষিণ-পূর্ব আদিয়ামান প্রদেশের তুত শহরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সানলিউরফা প্রদেশের গভর্নর সালেহ আয়হান জানিয়েছেন, বন্যায় তার এলাকার চারজন নিহত হয়েছেন। তবে পরবর্তী সময়ে উদ্ধারকারীরা সানলিউরফা’র একটি বাড়ির নিচতলায় আরও পাঁচ সিরিয়ান নাগরিকের মরদেহ খুঁজে পান। পরে আরও দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। বৃষ্টির কারণে এ অঞ্চলের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি আরও কিছু দিন থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তুরস্কের আবহাওয়া দপ্তরের (টিএসএমএস) পূর্বাভাসে ১৪ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের জন্য অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু জানান, ১৬৩ জনের সমন্বয়ে গঠিত ১০টি দল বন্যাকবলিত এলাকার ২৫ কিলোমিটার জুড়ে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। তবে খারাপ আবহাওয়া ও বন্যার পানির স্রোত খুবই শক্তিশালী হওয়ার উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ এবং ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভয়াবহ ভূকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়া ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। এ ঘটনায় প্রাণ হারান ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ।
Discussion about this post