ঢাকা: আজ শুক্রবার নিজ বাসভবনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ব্রিফিংকালে, যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখতে সাবধানতার সঙ্গে জীবনের মায়া নিয়ে গাড়ি চালাতে চালকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এবারের ঈদে সরকারি ছুটি কম থাকায় প্রায় একই সময়ে লাখ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। পাশাপাশি পদ্মাসেতু চালু হওয়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বহু মানুষ এবার গ্রামে যাওয়ার অভিযাত্রায় শামিল হয়েছে।’ সেতুমন্ত্রী যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখতে সাবধানতার সঙ্গে গাড়ি চালানোর জন্য সব চালকদের উদ্দেশে বলেন, ‘জীবনের প্রতি মায়া রেখে, জীবনের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মহাসড়কে নিয়ম মেনে গাড়ি চালান।’ জরুরি এবং রপ্তানি পণ্য ছাড়া ট্টাক-কাভার্ডভ্যান নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চালানো বন্ধ রাখারও আহবান জানান ওবায়দুল কাদের। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে। এবারের ঈদ যাত্রায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ, তাই সামান্য উদাসীনতা এবং স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।’ তাই পরিবহনে, ঈদের ছুটিতে ও ফিরতি যাত্রায় মাস্ক পরিধান এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পশুবাহী গাড়ি ধীরে চলায় এবং রাস্তায় নষ্ট হওয়ায় কোথাও স্বল্প সময়ের জন্য যানজট হচ্ছে। এজন্য তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে গাড়ির চাকা সচল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন, পরিবহন, মালিক-শ্রমিকসহ সকলকে নিজ নিজ প্রয়াস জোরদারের মাধ্যম ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার আহবান জানান। এসময় তিনি ঈদযাত্রায় ভোগান্তি লাঘবে মহাসড়কের আশেপাশে থাকা পশুর হাটের পরিসর বাড়ানো ঠেকাতে সংশ্লিষ্টদের নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেন।
Discussion about this post