সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: শ্যালকের দায়ের কোপে দুলাভাইয়ের হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সেই সঙ্গে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে তার মা। এ ঘটনায় শ্যালকসহ দুই সহযোগিকে আটক করেছে পুলিশ । বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ডিকসো মোল্লা পাড়ায় তাদেরকে আটক করে হাজতে পাঠানো হয়। পুলিশ জানায়, ডিকসো মোল্লা পাড়ার হাফিজুল ইসলামের ছেলে নুর নবীর (৩০) সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়ার আবেদ আলীর মেয়ে আবেদা খাতুন শিল্পির (২৪)। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে মতবিরোধ চলছিল গৃহবধু শিল্পির। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্যের ঘটনা থানা পর্যন্ত গড়ায়। পরে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে পুলিশ মীমাংসা করে দেয়। পরবর্তীতে আবারো তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে গৃহবধু আবেদা খাতুন দেড় মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়। এখনও সেখানে অবস্থান করছে। এরই জের ধরে আবেদার ভাই আবু সালেহ (২০) তার দুই সহযোগী নুর আমিন (১৮) ও ফিরোজ ইসলামকে (২০) সঙ্গে নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় দুলাভাই নুর নবীর বাড়িতে যায়। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আবু সালেহের সঙ্গে থাকা ধারালো দা দিয়ে নুর নবীকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে নুর নবীর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং দুই হাত ও বুকে পিঠে কেটে যায়। আটক নুর আমিন উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের হাজীপাড়ার মৃত বুলু মামুদের ছেলে। সে শহরের একটি হার্ডবোট কারখানার শ্রমিক। এবং ফিরোজ ইসলাম ওই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে। সে পেশায় ভ্যানচালক। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Discussion about this post