নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ নগরীর টানবাজার ঘাট এলাকায় ছুরিকাঘাতে মোঃ মাহফুজ (২০) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় নগরীর টানবাজার ঘাট এলাকায় কলেজছাত্র মাহফুজ ছুরিকাহত হন। পরে রাত আড়াইটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত মাহফুজ নগরীর খানপুর বউবাজার এলাকার হারুনুর রশীদের ছেলে। সে নারায়ণগঞ্জ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। পাশাপাশি কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের কারখানায় অপারেটর হিসেবে চাকরি করতো। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, কলেজছাত্র মোঃ মাহফুজসহ তার বন্ধুরা পিকনিক শেষে রাতে টানবাজার ঘাট দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় একটি পক্ষ মাহফুজকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। এতে সে গুরুত্বর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, বছর দেড়ের পূর্বে দেওভোগের কিছু যুবকের সাথে চাষাঢ়ায় শহীদ মিনারের সামনে মাহফুজ, মেহেদী, সায়েম ও তাদের বন্ধুদের মারামারি হয়। এর জেরেই এ হত্যাকান্ডটি ঘটে থাকতে পারে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জেরে মাহফুজকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। মাহফুজের বড় বোন পলি বেগম বলেন, শুক্রবার বিকেলে কাজ থেকে ফেরার পর দুই সহকর্মী ও বন্ধু মেহেদী (২১) ও সায়েম (২০) বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় মাহফুজকে। রাতে মাহফুজ ছুরিকাহত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে আছেন বলে খবর পান বড় বোন পলি। হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক দ্রুত ঢাকা নিয়ে যেতে বলে। পরে ঢাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করালে সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিল মাহফুজ। রাত আড়াইটার দিকে আইসিইউতেই মারা যায় সে। এই ঘটনাটি জানার জন্য মেহেদী, সায়েম ও তমাল তিনজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। এটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। একই সাথে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Discussion about this post