আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চুরির দায়ে ইরানে আট জনের আঙুল কেটে নেওয়া হবে। সদ্য এই আদেশটি দিয়েছেন দেশটির আদালত। এই ঘটনায় আপত্তি তুলেছেন মানবাধিকার সংস্থার কর্মীরা। বিশ্বের কাছে তারা আহ্বান জানিয়েছেন, এই শাস্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে। ইরানের আইন অনুযায়ী, ডান হাতের চারটি আঙুল কেটে নেওয়া হবে তাদের। ইরানের মানবাধিকার সংস্থা আবুদ্দরহমান বরোমান্দ সেন্টারের তরফে বলা হয়েছে, এমন নিষ্ঠুর সাজা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। ইসলামিক দেশগুলোতে শরিয়ত আইনে আঙুল কেটে নেওয়ার শাস্তি দেওয়ার বিধান রয়েছে। যদিও ১৯৭৯ সালের পরে এই আইন কিছুটা সংশোধন করা হয়। তারপর থেকে আঙুল কেটে নেওয়ার শাস্তি দেওয়া প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছে। তবে একেবারে বন্ধ হয়নি। পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, তারপরও ইরানে ৩৫৬টি অপরাধে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টির তরফে বিশ্বের সব দেশের কাছে আবেদন করা হয়েছে, কূটনৈতিকভাবে পদক্ষেপ করে এ শাস্তি বন্ধ করা দরকার। সংস্থাটির মধ্যপ্রাচ্যের দায়িত্বে থাকা ডায়ানা ইলথাবি বলেছেন, ইরানের ফৌজদারি আইনে আঙুল কেটে নেওয়ার মতো অত্যাচারকে বৈধতা দেওয়া হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইনে এটাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। এভাবে শাস্তি দেওয়াকে ন্যায়বিচার বলে মেনে নেওয়া যায় না। ইরান সরকারের উচিত অবিলম্বে আঙুল কেটে নেওয়ার নির্দেশ প্রত্যাহার করা। আবার বিচার করে অপরাধীদের অন্য কোনো শাস্তি দেওয়া। ফরাসি বিপ্লবের সময়ে ব্যবহার হত গিলোটিন। যার সাহায্যে খুব তাড়াতাড়ি মানুষের মাথা কেটে দেওয়া হতো। ওই ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করেই আঙুল কাটা হয় ইরানে।
Discussion about this post