কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি: আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান জানান। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে শহরের শহীদ স্মরণী সড়কে সোমবার বিকালে সমাবেশ ডাক দেয় কক্সবাজার জেলা বিএনপি। বিএনপি যে জায়গায় কর্মসূচি ডেকেছে সেখান থেকে ৩০ গজ দূরে শহীদ মিনারে সরকারের ৩ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিজয় উৎসব উদযাপনের কর্মসূচি দেয় যুবলীগ। এর পরপরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা এল। আবু সুফিয়ান বলেন, কক্সবাজার শহরে মাত্র ৩০ থেকে ৫০ গজ দূরুত্বে একই সময়ে দুইটি রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। কক্সবাজার শহরের শহীদ স্মরণীতে জেলা বিএনপির কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘিরে ২০০ গজ ব্যাসার্ধের এলাকা জুড়ে প্রশাসনের এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে। ওই এলাকায় যে কোন ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।” প্রশাসনের জারি করা নির্দেশনা বাস্তবায়নে ঘটনাস্থলে ও মাঠে চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়োজিত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্দেশনা যারা অমান্য করবে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।” এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও কক্সবাজার সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, ” সমাবেশ আয়োজনে শহরের বাহারছড়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মাঠ (গোল চক্কর), কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান ও কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দানের মধ্যে যে কোন একটি বরাদ্দের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু প্রশাসনের কাছ থেকে একটিরও অনুমতি পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত সোমবার জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। “এখন মঞ্চ তৈরি সহ সমাবেশ সফল করতে সবধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রশাসন কর্মসূচিস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করলেও যে কোন মূল্যে সমাবেশ সফল করা হবে।” জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমেদ বাহাদুর বলেন, “গত ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দানে তাদের এই কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে বিজয় মেলার অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকায় তা পেছানো হয়। পরে ওই কর্মসূচি পালনের জন্য ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করে স্থান হিসেবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে নির্ধারণ করা হয়। ” এখন পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে কথিত মহাসমাবেশ ঘোষণা দিয়ে বসেছে। সমাবেশ আয়োজনের জন্য বিএনপি যে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন ছাপিয়েছে তাতে কোন স্থানের উল্লেখও করা হয়নি।” যুবলীগের নেতাকর্মীরা কর্মসূচি সফল করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানান সোহেল।
Discussion about this post