ঢাকা: উন্নত দেশে মন্দা দেখা দিলেও বাংলাদেশ অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন দেশ হিমশিম খেলেও বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এটাই বাংলাদেশের অর্জন। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা কার্যকর করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে প্রবৃদ্ধি কিছুটা কম হলেও মাথাপিছু আয় বেড়েছে। এ ছাড়া দারিদ্র্য কমেছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও বেড়েছে। তিনি বলেন, এখনকার ডিপ্লোমেসি (কূটনীতি) পলিটিক্যাল ডিপ্লোমেসি না, ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি হবে। প্রত্যকটা দূতাবাসকে রপ্তানি বাণিজ্য, কোনো দেশে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি, আমরা কী রপ্তানি করতে পারি বা কোথায় থেকে আমরা বিনিয়োগ আনতে পারি, সেদিকে দৃষ্টি দেয়ার নিদের্শ দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছি, ওই এলাকার বাংলাদেশের যারা রাষ্ট্রদূত তাদের ডেকে সেভাবে ব্রিফ করেছি। আবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সেটা বলে দেওয়া আছে। দূতাবাস চেষ্টা করবে, কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা আছে। আমরা সেটাই রপ্তানি করতে চেষ্টা করবো। এ ভাবেই বাণিজ্য বৃদ্ধি করব। শেখ হাসিনা বলেন, রপ্তানির নতুন বাজার খোঁজার পাশাপাশি দেশের বাজারের দিকেও নজর দিতে হবে। যত বেশি পণ্য বহুমুখি করতে পারব, তত বেশি নতুন নতুন বাজার পাব। তাহলে পণ্য রপ্তানিও বেশি করতে পারব। সরকারপ্রধান বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও উন্নয়নের জন্য অবকাঠামো গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা সড়ক, রেল, নৌপথ সবকিছুর উন্নয়ন করছি। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সড়কসহ সকল ধরনের চলাচল অবকাঠামোর উন্নয়ন করে চলেছে। পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল চালু হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিবিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান।
Discussion about this post