বিনোদন ডেস্ক: কারো ভালো দেখে হিংসা ও রেষারেষি না করে এবং কারো নেতিবাক দিকটা না দেখে সবাইকে ভালোবাসতে চান অভিনেতা অনন্ত জলিল ও অভিনেত্রী বর্ষা। মানুষকে তাদের এই ভালোবাসা দেখে অন্যরাও শিখবে বলে আশা এই অভিনয় শিল্পী দম্পতির। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির এক রেস্টুরেন্টে আয়োজিত “ডিনার উইথ অনন্ত এবং বর্ষা” অনুষ্ঠানে তারা এসব এসব কথা বলেন। একজন অভিনেত্রী দাড়ানোর জন্য তার আশেপাশে “দিন দা ডে” সিনেমার পোস্টার সরিয়ে ফেলার ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিনেত্রী বর্ষা সাংবাদিকদের বলেন, হয়তো উনার ভালো লাগেনি সেটা তার ব্যাপার। সবার যে ভালো লাগবে তা তো নয়। এটা একান্তই তার ব্যাপার। ছবি তৈরির জন্য আপনারা লাভ লসের হিসেব করেন না যে বলেছেন- এভাবে কতদিন চালিয়ে যাবেন প্রশ্নের জবাবে অনন্ত ও বর্ষা বলেন, লাভ লস হিসেব করে সিনেমা করিনা। মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য করি। হয়তো এভাবে আনন্দ দিয়ে চার-পাঁচ বছর পর সরে যাবো। যতদিন ভালোলাগে ততদিন থাকবো। তবে কাউকে পার্সোনাল আক্রমণ করা ঠিক না। অভিনেতা অনন্ত জলিল বলেন, আমাদের মধ্যে হিংসা নাই। আপনাদের সঙ্গে ভালোবাসা নিয়েই বাঁচতে চাই। আমরা মানুষের নেগেটিভ সাইট কখনো দেখিনা। অনেকেই নেগেটিভভাবে আমাদের নেয়, এটা ঠিক না। আগে আমরা স্টারদের মধ্যে কখনো রেষারেষি দেখিনি। আমরা সবাইকে ভালোবাসতে চাই। তারা যেনো আমাদের থেকে ভালোবাসা শিখতে পারে। সিনেমা হল প্রসঙ্গে এ অভিনেতা বলেন, সিনেমা হলে লোক যায়না। আপনারাই সংবাদ করেছেন। কিন্তু এখন যেভাবেই হোক লোকজন আসতে শুরু করেছে। আপনারা দেখেছেন দুই-তিন দিন আগেই “দিন দ্যা ডে” ছবির টিকিট শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে হল মালিকরা হতাশ হবেন না। আপনারা আপনাদের পরিবেশ ভালো করুন। হলে যদি ফ্যান না থাকে, এসি না থাকে তাহলে গরমে বসে মানুষ কিভাবে ছবি দেখবে। অনন্ত ও বর্ষার পরবর্তী ছবি নেত্রী দ্যা লিডারের বিষয়ে জানতে চাইলে অনন্ত সাংবাদিকদের জানান, ছবিটির ৬০ ভাগ শুটিং বাংলাদেশে হবে এবং বাকি ৪০ ভাগ বিদেশে হবে। বিদেশে ছবির শুটিংয়ে অনেক খরচ। যেখানে আমাদের দেশে একজন লোককে দেড় হাজার টাকা দেয়া হয় সেখানে ইউরোপে পনেরো হাজার ইউরো দিতে হয়। কোন কোন দেশে রিলিজ হবে সেটি পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
Discussion about this post