বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য একটি চালকবিহীন উড়োজাহাজ তৈরি করবে বোয়িং। শিকাগোভিত্তিক কোম্পানিটি সেন্ট লুইস বিমানবন্দরে এ ঘোষণা দেয়। এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি এ বিমানের নাম। তবে প্রাথমিকভাবে একে বলা হচ্ছে এমকিউ টোয়েন্টি ফাইভ স্টিংগ্রে। নেভির প্রথম নামবিহীন বিমান এটি। এ প্রথম মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য চালকবিহীন উড়োজাহাজ তৈরি করতে যাচ্ছে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং করপোরেশন। এ প্রকল্পে ২০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। মধ্য আমেরিকার সেন্ট লুইস বিমানবন্দরে এ প্রকল্পের আওতায় ১৫০ জন নতুন কর্মীও নেওয়া হবে। সংবাদ সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে বোয়িং প্রথমবারের মতো নৌবাহিনীর এমকিউ-২৫ স্টিংগ্রে মডেলের চালকবিহীন উড়োজাহাজ তৈরি করবে। তবে চালকবিহীন হলেও এতে মালামাল পরিবহনের সুবিধা থাকবে। ২০১৮ সালেই এ বিষয়ে একটি চুক্তি হয়। এরপর থেকেই উড়োজাহাজটি তৈরি ও উন্নয়নের কাজ করছে বোয়িং। আগামী ১৫ বছরে ২০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ ও মধ্য আমেরিকায় ১৫০টি কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিনিময়ে বোয়িং ৮৭ লাখ ডলারের আয়কর মওকুফের সুবিধা পেয়েছে। এ এলাকায় এক দশক আগে থেকেই বোয়িংয়ের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ছিল। মধ্য আমেরিকার নতুন এ কারখানা তৈরির কাজ শুরু হবে চলতি বছরের শেষ দিকে। ২০২৪ সাল নাগাদ সেটি উৎপাদনে যাওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। এ প্ল্যান্টের আকার হবে ৩ লাখ স্কয়ার ফিট। মধ্য আমেরিকার সেন্ট ক্লেয়ার সাইটে বোয়িংয়ের ৭০ জন কর্মী কাজ করছেন। আগামী ২০ বছরে ৪৩ হাজার ৬১০টি বাণিজ্যিক বিমান সরবরাহের লক্ষ্য নিয়েছে বোয়িং। যার বাজারমূল্য ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। আড়াই ট্রিলিয়ন ডলারের সামরিক আর মহাকাশযান সরবরাহের লক্ষ্য স্থির করেছে বোয়িং। কোম্পানিটি বলছে, ২০ বছরে ৭ হাজার ৬৭০টি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার সরবরাহ করবে তারা। দুর্ভাগ্য যে বিমানের জন্য বোয়িংয়ের পিছু ছাড়ছে না, সেই বিমানও ২০ বছরে ৩২ হাজার ৬৬০টি সরবরাহের লক্ষ্য স্থির করেছে বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। বিমানে ভ্রমণ কমায় সারা বিশ্বে এখনো অলস পড়ে আছে ৪ হাজার বিমান। আগামী ২০ বছরে আকাশপথে ভ্রমণের কারণে ২ শতাংশ বাড়বে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ।
Discussion about this post