ঢাকা: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়ায় বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ৪ সেস্টেম্বর) দুপুরের দিকে হত্যা মামলায় ছোট ভাই অভিযুক্ত ডালিমকে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে দুই ভাইয়ের কুস্তাকুস্তির মধ্যে উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুমোদ মজুমদারের বাড়ির পুকুরে পড়ে বড় ভাই মারা যান। নিহত যুবকের নাম তপন চন্দ্র মজুমদার (৪২)। তিনি একই ইউনিয়নের চরবাটা গ্রামের মৃত ননী গোপাল মজুমদারের ছেলে। অপরদিকে, গ্রেপ্তার ডালিম চন্দ্র মজুমদার (৪০) একই গ্রামের ভবতোষের বাড়ির ভবতোষ চন্দ্র মজুমদারের ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় জানায়, ডালিম ও তপন সম্পর্কে চাচাতো-জেঠাতো ভাই। তারা এক সঙ্গে চলাফেরা করতো। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার চরবাটা গ্রামের কুমোদ মজুমদারের বাড়ির সড়কে ডালিমের চলন্ত মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে জেটাতো ভাই তপন। ওই পাশেই আরেক ব্যক্তি মাছ ধরছিল। এ নিয়ে তপন হইচই শুরু করে। তখন ডালিম গভীর রাতে তপনকে হইচই করতে নিষেধ করে। একপর্যায়ে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বেধে যায়। ওই সময় তপনের হাতে থাকা লোহার পাত দিয়ে তিনি ডালিমকে আঘাত করেন। এতে দুজনের মধ্যে কুস্তাকুস্তি শুরু হয়ে যায়। পরে তারা দুজন গড়াগড়ি খেয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। তখন ডালিম বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলে পাশে মাছ ধরতে থাকা মুনছুর এসে ডালিমকে উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিক তপনকে পুকুরের পানিতে খোজাঁখুজি করেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে রাত সোয়া ২টার দিকে তপনের মরদেহ পুকুরে ভেসে উঠে। খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে এবং ডালিমকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শান্তি পদ মুজমদার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ডালিমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।
Discussion about this post