ঢাকা: বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেশের ২৪ বিশিষ্ট নাগরিককে ‘একুশে পদক-২০২২’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ পদক তুলে দেয়া হয় বিশিষ্টজনদের হাতে। পদক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ পদক বিতরণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পদক পেয়েছেন যারা: ভাষা আন্দোলন : মোস্তফা এম. এ. মতিন (মরণোত্তর) ও মির্জা তোফাজ্জল হোসেন (মুকুল) (মরণোত্তর) শিল্পকলা : নৃত্যে জিনাত বরকতউল্লাহ, সংগীতে নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর), ইকবাল আহমেদ ও মাহমুদুর রহমান বেণু, অভিনয়ে খালেদ মাহমুদ খান (মরণোত্তর), আফজাল হোসেন ও মাসুম আজি মুক্তিযুদ্ধ : বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউ. এ. বি. এম রহমান ও আমজাদ আলী খন্দকার সাংবাদিকতা : এম এ মালেক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মো. আনোয়ার হোসেন শিক্ষা : অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ সমাজসেবা : এস. এম. আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথের ভাষা ও সাহিত্য : কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা দাশ পুরকয়স্থ গবেষণা : ড. মো. আবদুস সাত্তার মন্ডল, ড. মো. এনামুল হক (দলগত) (দলনেতা), ড. সাহানাজ সুলতানা (দলগত) ও ড. জান্নাতুল ফেরদৌস (দলগত) নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ ৪ লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেয়া হচ্ছে।
Discussion about this post