নীলফামারী প্রতিনিধি: জেলার ডিমলা উপজেলায় কিশোরগ্যাং গুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ধর্ষণ অপহরন মুক্তিপণ আদায় সহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কাজে জড়িয়ে পড়েছে তারা। এমন কয়েকটি ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করলেও বাকীরা পলাতক রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় ও অভিনব পন্থায় নীলফামারীর ডিমলায় দুই ব্যক্তিকে আটকিয়ে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ঘটায় কিশোরগ্যাং চক্র। এ ঘটনায় জড়িত এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সুপারি ব্যবসায়ী রিপন(৩০) এক নারীসহ এগারো জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন ডিমলা থানায়। রিপন ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ঠাঁকুরগঞ্জ এলাকার মৃত. জাদু মিয়ার ছেলে। মামলা সুত্র মতে বাদী রিপনআলী জলঢাকায় সুপারী কেনার উদ্দেশ্যে অটোরিকসা চালক আনোয়ার হোসেনকে(২৩) সাথে নিয়ে বের হলে সুমী নামের এক মেয়ে ঠুটারডাঙ্গা ব্রীজের কাছে অটোরিক্সাটির পথরোধ করে। এ সময় দুই যুবক রিপন সহ অটোচালককে আটকিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে অজ্ঞাত কিশোররা মারপিট করে অটোচালকের কাছে থাকা ১২৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং আমার কাছে টাকা না পেয়ে বাড়িতে ফোন করে ৫০০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে নেয়। এরই মধ্যে আরো ১০/১২জন কিশোর তাদের সাথে যোগ দিয়ে আরো ৫০ হাজার টাকার জন্য চাপ দেয়। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানালে গতকাল বুধবার রাত দুইটার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে পালিয়ে যায় অন্যান্যরা। এ সময় আটক হন লাহাব হোসেন লাম(১৬) নামে এক কিশোর। সে নাউতারা নিজবাড়ি এলাকার আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে। এ ঘটনায় সুমি নামে এক নারীসহ ১১জনের নামে ডিমলা থানায় মামলা করেন রিপন। এদিকে বাড়িতে একা পেয়ে কিশোরগ্যাং এর দুই সদস্য পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষন করে। গত সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ঝুনাগাছা ভেসসিপাড়া গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে সুজন ইসলাম (১৫) ও আমিনুর রহমানের ছেলে আলী নূর ওরফে বুলু বাদশা (১৪) কে আটক করে । ডিমলা উপজেলার সাধারন মানুষজন অভিযোগ করে জানায় উপজেলা জুড়ে মাদকের বিস্তার ঘটেছে। কিশোরগ্যাংরা একের পর এক অপরাধ করেই চলছে। কিছু প্রকাশ পায় কিছু গোপনে থেকে যায়। ডিমলা থানার পরিদর্শক(তদন্ত) বিশ্বদেব রায় জানান, দুটি ঘটনার আটক তিন কিশোরকে আদালতে তোলা হয়েছে এবং আদালতের নির্দেশে তাদের যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়।
Discussion about this post