ঢাকা: এক সপ্তাহ অনলাইন ক্লাস চালানোর পরও গরম না কমায় অনির্দিষ্টকাল সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সশরীরে সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইন ক্লাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।” তীব্র গরমের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলবে কিনা, জানতে চাইলে পরিবহন প্রশাসক সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, “মাত্রই বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ দেখেছি। আমরাও পরিবহন দপ্তর থেকে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেব।” বৈশাখের শুরু থেকেই বাড়তে থাকা তাপমাত্রা এক সপ্তাহ ধরে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। চলমান তাপপ্রবাহ থেকে সহসা মুক্তি না মেলার কথা আবহাওয়ার পূর্বাভাসগুলোতে আগেই বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, চলমান তাপপ্রবাহ চলতে পারে মে মাসের ৪/৫ তারিখ পর্যন্ত,তবে এ সময়ে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠবে না। চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০ এপ্রিল, সেদিন যশোরে তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড গরমে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর খবর আসছে। যে কারণে জনগণকে সচেতন করতে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে দেশের সব স্কুল-কলেজে সাতদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজে।
Discussion about this post