জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের খাড়িতা গ্রামে কিশোর-কিশোরী প্রেমিক-প্রেমিকা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঘটনার চারদিন পরে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোরে স্কুল পড়ুয়া ওই প্রেমিক-প্রেমিকা মারা যায়। মারা যাওয়া দুই জন হলো- প্রেমিক মুরাদ (১৭) এবং প্রেমিকা তাজমিন। গত ৪ এপ্রিল রাতে নিজ নিজ বাড়িতে তারা বিষপান করে। নিহত মুরাদ শেখ খাড়িতা গ্রামের দোলন শেখের ছেলে। সে এবার বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তার প্রেমিকা একই গ্রামের তোজাম্মেল শেখের মেয়ে। সে বাকিলা মোহসিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। জানা যায়, গত দুই বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু তারা অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় দুই পরিবারের কেউ তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে চায়নি। এ অবস্থায় ঈদের পর মুরাদের পরিবার তাকে মালয়েশিয়া পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। বিষয়টি দুজনে জানতে পেরে গত ৪ এপ্রিল রাতের আঁধারে নিজ নিজ বাড়িতে বিষপান করে। পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মুরাদকে বাড়িতে পাঠানো হয় এবং তাজমিনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে মুরাদ আবারো অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার ভোরে সে মারা যায়। আর বগুড়ার শজিমেক হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাজমিনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। সর্বশেষ সোমবার রাতে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে তাজমিনও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার জাকারিয়া হোসেন বলেন, ‘সত্যিই ঘটনাটি বেদনাদায়ক। এমন ভুল সিদ্ধান্তে আর যেন কোনো ছেলে-মেয়ের অকালে প্রাণ দিতে না হয়, সেজন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার দাবি জানান। অপ্রত্যাশিত এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ক্ষেতলাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, ইতোমধ্যেই একজনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে।
Discussion about this post