স্টাফ রিপোর্টার: বান্দরবানের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুটের ঘটনায় যারা জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ শনিবার রুমা ব্যাংক পরিদর্শনকালে রুমা উপজেলা কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই এলাকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন, এছাড়া ডাকাতি, অস্ত্র লুটের ঘটনায় আগাম তথ্য দেওয়ার বিষয়ে গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বান্দরবানের সাংসদ বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, আনসার ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুমা সোনালী ব্যাংকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্ট্রে সদস্যরা (কেএনএফ) হামলা চালিয়ে ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র লুটপাট করে। এ সময় ভল্টের টাকা নিতে না পেরে মসজিদ থেকে ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। পরদিন থানচি বাজারে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। কৃষি ব্যাংক থেকে দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং সোনালী ব্যাংক থেকে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়। এদিকে রুমা থেকে র্যাব এর মধ্যস্থতায় সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুইটি উপজেলায় হামলার ঘটনায় রুমায় ৩টি এবং থানচি উপজেলায় ২টি সহ ৫টি মামলা করেছে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে জেলা সদরসহ উপজেলাগুলোতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা ব্যবস্থা। সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে। এদিকে চলমান অস্থিরতায় রুমা এবং থানচি উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকলে জনমনে আতঙ্ক এখনো কাটেনি।
Discussion about this post