ঢাকা: যাকাত বোর্ডকে শক্তিশালী করা সম্ভব হলে দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। তিনি বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, সে লক্ষ্য অর্জনে যাকাত বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে। বুধবার (৩ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে যাকাত বোর্ড আয়োজিত দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা বিষয়ক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ধর্মমন্ত্রী বলেন, ইসলামের পাঁচটি স্তম্বের অন্যতম একটি স্তম্ভ যাকাত। সামর্থ্যবান মুসলিম নর-নারীর জন্য যাকাত আদায় করা ফরজ। এটি আর্থিক ইবাদত। ইসলামে নামাজকে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তেমনি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যাকাতকে। তিনি বলেন, যাকাত ইসলামি অর্থ ব্যবস্থার মূলভিত্তি। যাকাত আদায় করা হলে মানুষের ধন-সম্পদ থেকে গরিবের হক আদায় হয়। ফলে তা হালাল ও পবিত্র হয়। আবার যাকাতের মাধ্যমে শ্রেণিবৈষম্য দূর হয়, সমাজে দারিদ্র্যের হার কমে ও স্বচ্ছল মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। পবিত্র কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, পবিত্র কুরআনে যাকাত আদায় না করার পরিণাম সম্পর্কে হুঁশিয়ার করা হয়েছে। যারা যাকাত আদায় করবে না, তাদেরকে বেদনাদায়ক আজাবের সম্মুখীন হতে হবে। ফরিদুল হক খান বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যাকাত ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। ইসলামে যাকাতের প্রচলন হয়েছে মূলত একটি সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন করার জন্য। সমাজে শুধু ধনীদের হাতে সম্পদ যাতে কুক্ষিগত না থাকে এবং একটি অর্থনৈতিক বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়, সেলক্ষ্যেই মহান আল্লাহপাক যাকাত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। এটি ধনীদের কোন দয়া বা অনুগ্রহ নয়, বরং ধনীদের থেকে গরিবদের প্রাপ্য অধিকার। ইসলমিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা. বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. ওয়ালীয়ূর রহমান খান। দিনব্যাপী এ সেমিনারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি ও ওলামায়ে-কেরাম অংশগ্রহণ করে।
Discussion about this post