ঢাকা: আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি) আরো ৩৫ জন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বিজিপির ২৬৫ জন সদস্য মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে গোলাগুলির চলমান অবস্থায় তারা দুপুর ১২টার দিকে উখিয়ার পালংখালী রহমতের বিল এলাকার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নেয় বিজিপি সদস্যরা। এর আগে, থাইংখালি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে ১১৪ জন বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে তাদের কে বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়। অপরদিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে ঢুকে আরও ২ জন বিজিপি সদস্য । আজকে সীমান্ত দিয়ে। আজকে এখন পর্যন্ত ১১৬ জন বিজিবির হেফাজতে আছে। সবশেষ মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি) মোট ২৬৪ জন সদস্য এখন পর্যন্ত পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। পরবর্তীতে বিজিবি কতৃপক্ষ তাদেরকে গাড়িযোগে পালংখালি ক্যাম্প থেকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। বিজিবি সেক্টর কমান্ডার রামু কর্ণেল মো. মেহেদী হোছাইন কবির বলেন, ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সদস্য সংখ্যা ছিল ১১৩। পরে আরও দুই স্থান থেকে ১১৬ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেওয়া হয়। পরবর্তী দুপুরে আরো ৩৫ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নেয়।’ সকাল ৯টার দিকে মিয়ানমারের ছোঁড়া মর্টারশেল আঘাত হেনেছে ঘুমধুম বেতবুনিয়া বাজার সংলগ্ন ছৈয়দ নুর শিকদারের বসতঘরে! ভেঙে গেছে জানালার কাচের আয়না, ফাটল ধরেছে বাড়ির দেওয়ালে। এসময় একজন আহত হয়। মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ওই ঘটনাটি বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
Discussion about this post