বিশেষ প্রতিনিধি: টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ইজতেমায় নিরাপত্তা ব্যবস্হা নিশ্চিত করতে ১৫ হাজার পুলিশের সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তার চাদরে ডেকে ফেলা হয়েছে পুরো ইজতেমা ময়দান। কেউ কোন নাশকতা করে পার পাবে না। বিশ্ব ইজতেমায় কোন জঙ্গি বা নাশকতা হামলার গোয়েন্দা তথ্য নেই। তবে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে যেন কোন নাশকতা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে। আমরা যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত। পুলিশ প্রধান মামুন বুধবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে স্থাপিত গাজীপুর মহানগর পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনের মাঠে আয়েজিত প্রেস ব্রিফিং এ এসব কথা বলেন তিনি। আইজিপি বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় বাংলাদেশ পুলিশের ১৫ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। নৌপুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, এপিবিএন, ট্রাফিক পুলিশ, ডিবি, সিআইডিসহ পুলিশের সকল ইউনিটের পাশাপাশি র্যাবও আইনশৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। পোষাক ও সাদা পোষাকে ইজতেমা মাঠের চতুর্দিকে পুলিশের দল ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে মুসল্লিদের সঙ্গে মিশে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ যেন গুজব ছড়াতে না পারে সেজন্য সাইবার টিমও সক্রিয় থাকবে ইজতেমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত। দেশবাসীকে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে পুলিশ প্রধান বলেন, আমি দেশবাসীকে অনুরোধ করবো আপনারা গুজবে কান দিবেন না। একটা দল দেশের শান্তি শৃঙ্খলা নস্ট করার জন্য চেষ্টা করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে, বিভিন্ন দল ও গ্রুপ ও সম্প্রদায়ের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি মাধ্যমে দেশের মাঝে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা পরিকল্পনায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রয়েছি। আমরা তাদের কাছ থেকে তথ্য পাচ্ছি এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তমূলক পোস্ট যদি আপলোড করে কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করতে না পারে সে জন্য আমাদের সাইবার মনিটরিং ও সাইবার পেট্টোলিং জোরদার করা হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমায় দুই গ্রুপের বিরোধ সম্পর্কে পুলিশ প্রধান বলেন, আমরা দুই পক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করবেন বলে কথা দিয়েছেন। তারপরও যদি তারা কোন কিছু করেন তবে আইনগতভাবে মোকাবেলা করা হবে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ইনশাল্লাহ দুই গ্রুপের মধ্যে কোন সমস্যা হবে না। প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস), অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম (স্পেশসল ব্রাঞ্চ), ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি নুরুল ইসলাম, ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলমসহ বাংলাদেশ পুলিশের সকল ইউনিটের প্রধানগণ, ঢাকা বিভাগের ডিআইজি, ঢাকা ও গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ওসিরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post