লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স এলাকা থেকে ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মাইনুল ইসলাম প্রদীপ ও তার চাচাতো ভাই নাদিম মাহমুদকে অস্ত্রসহ ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে নির্বাচনের সহিংসতার ঘটানোর চেষ্টার সময় তাদের দুজনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে পরিকল্পিতভাবে যুবলীগ নেতা মাইনুল ইসলাম প্রদীপ ও তার চাচাতো ভাই নাদিম মাহমুদকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন যুবলীগ নেতার স্বজনরা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাত দেড়টার দিকে মাইনুল ইসলাম প্রদীপ অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দেন। এসময় তার চাচাতো ভাই নাদিম মাহমুদও সঙ্গে ছিলেন। এসময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাদের দুজনকে আটক করে মারধর করে আটকে রাখে। পরে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। ভোটকে কেন্দ্র করে সহিংসতার চালানোর জন্য তারা অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দিচ্ছে বলে ধারণা পুলিশের। মাইনুল ইসলাম প্রদীপের চাচা ও নাদিম মাহমুদের বাবা হুমায়ুন কবির জানান, বাড়ির পাশে নাদিম মাহমুদ ও মাইনুল ইসলাম প্রদীপ চা খাওয়ার জন্য দোকানে আসে। এসময় জেলা পরিষদের সদস্য গিয়াস মোল্লার নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক পরিকল্পিতভাবে তাদের সামনে অস্ত্র দিয়ে মারধর করে তাদের আটকে পুলিশকে খবর দেয়। এটি একটি সাজানো নাটক। এই অস্ত্র গিয়াস মোল্লার বলেও দাবি করেন তিনি। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত বিষয়টি বের করার দাবি জানান তিনি। এদিকে মো. গিয়াস উদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা চালানোর জন্য যুবলীগ নেতা মাইনুল ইসলাম প্রদীপ অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দেন। পরে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে আটক করে পুলিশে তুলে দেয়। এটার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। কমলনগর থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিন জানান, অস্ত্রসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাদের দুজনকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। নির্বাচনে সহিংসতা না অন্য কিছু সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
Discussion about this post