ঢাকা: ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের বাসায় মধ্যরাতে দরজা ভেঙে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে আসেন নুর। অভিযোগ করে বলেন, যারা অভিযানে এসেছিলেন তাদের মাঝে একজন মদ্যপ অবস্থায় অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছে। আমার দুই মাস ও সাড়ে তিন বছরের ছোটো দুটো বাচ্চা পুলিশের এ তাণ্ডবে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে রাত ৩টা ৪৫ এর দিকে ফেসবুক লাইভে এসে নুর বলেন, আমি আমার সিসিটিভিতে রাত ২টার দিকে দেখি নিচে আমার গাড়ির কাছে বেশ কয়েকজন লোক ঘোরাঘুরি করছে। এরপর দেখি তারা লিফটে উঠে আমার বাসার দরজায় কলিংবেল বাজাতে থাকে। আমি জিজ্ঞেস করায় তারা জানায় তারা ডিবির লোক। তিনি বলেন, এত রাতে ডিবির ইউনিফর্ম ছাড়া কোন লোককে আমি ঘরে ঢুকতে দিবো না। তখন তারা বলেন দরজা না খুললে তারা সেটি ভেঙে ফেলবে। পরে আমার ৩টা দরজা ভেঙে আমার বাসায় ঢুকে পরে। ঢুকেই তারা জানায়, আমার বাসায় নাকি জঙ্গি আছে। আমি জিজ্ঞেস করায় তারা কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে দেখায়। লাইভে নুর আরও বলেন, রাতে আমার বাসায় মতিঝিল জোনের ডিবির ডিসি পরিচয়ে যিনি এসেছিলেন তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তার চোখ লাল ছিল এবং অ্যালকোহলের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিলো। আমি তাদের বললাম যে, ইয়ামিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সেই সঙ্গে সে কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি। সে যদি জঙ্গি হয় তবে আমিও তার নেতা, আমাকেও আপনারা নিয়ে যান। তারা কোন কথা না শুনে ইয়ামিনকে চিলের মতো টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে চলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মারধর। তিনি বলেন, আমাদের ছাত্ররা যখন সরকার পতন আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ তখনই প্রশাসন নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমাদের জঙ্গি, জামাত শিবির বানিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে হুমকি।
Discussion about this post