আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফ্রান্সে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে পুলিশ- আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। গত ১৯ এবং ৩১ জানুয়ারির তুলনায় ৭ ফেব্রুয়ারির আন্দোলন ছিল বেশি সংঘর্ষপূর্ণ। এদিন গোটা ফ্রান্স জুড়ে প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষ এই আন্দোলনে অংশ নেন, যার মধ্যে রাজধানী প্যারিসেই ছিল প্রায় চার লাখ। প্যারিস ছাড়াও মার্সাই, লিও, লিল, তুলুজ, নিস্, বোকদো, রেন, নানসহ বড় শহরগুলোতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ও ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে। রাজধানী প্যারিসের প্লাস-দু-লা অপেরা থেকে শুরু হয়ে প্লাস-দু-লা বাস্তিল পর্যন্ত পুরো এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পুলিশ ১৭ আন্দোলনকারীকে আটক করেছে। বিগত দিনের তুলনায় এদিন পুলিশ ছিল বেশি আক্রমণাত্মক। বন্ধ ছিল সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পুরো ফ্রান্স জুড়ে অধিকাংশ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে পাঁচ ভাগের চার ভাগ ফ্লাইট। অন্যতম বৃহৎ শ্রমিক ইউনিয়ন ‘সিজিটি’ এর প্রধান ফিলিপ মার্টিনেজ সরকারকে সতর্ক করে বলেছেন, সরকার যদি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে তাহলে আরও ভয়াবহ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হবে।
Discussion about this post