ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় যাত্রাবাড়ীতে রং মিস্ত্রী সোহেল (৩০) ও কামরাঙ্গীরচরে স্কুলছাত্রী আয়শা আক্তার মমি (১৪) সহ ২ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতরাতে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। সোহেলের বাবা সাবান আলী শেখ জানান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ লৌহজং উপজেলায়। যাত্রাবাড়ী কাঠেরপুল মোহাম্মদ খান রোডের একটি বাড়িতে একাই থাকতেন সোহেল। তার স্ত্রী জহুরা আক্তার সৌদি প্রবাসী। তাদের কোনো সন্তান নেই। স্ত্রীর সাথে তার বনিবনা নেই দীর্ঘ ৭-৮ বছর। তবে ইদানিং আবার তারা যোগাযোগ শুরু করেন। তিনি জানান, গতকাল বুধবার রাতে বাড়িওয়ালা ভাড়ার জন্য তার বাসায় গিয়ে দেখেন, দরজা খোলা। ভিতরে উকি দিতেই দেখতে পান ফ্যানের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন তিনি। তখন বাড়িওয়ালাই থানায় খবর দেন। যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১টায় বাসার ৩য় তলার রুম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। সুরতহাল প্রতিবেদনে প্রাথমিক তদন্ত হিসেবে উল্লেখ করেন, স্ত্রীর সাথে রাগ, অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে মৃত মায়শার বাবা মকবুল হোসেন মমিন জানান, তাদের বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলায়। তিনি গ্রামে থাকেন। ২ মেয়েকে নিয়ে তাদের মা পেয়ারা বেগম কামরাঙ্গীরচর মাহাদীনগর ১ নম্বর গলির জসিমের টিনসেড বাড়িতে ভাড়া থাকেন। হাজারীবাগের শেখ রাসেল স্কুলের ৭ম শ্রেণিতে পড়ে মায়শা। বাবা পেশায় গাড়ি চালক আর মা অন্যের বাসায় কাজ করেন। দুই মেয়ের মধ্যে বড় মায়শা। মা পেয়ারা বেগম জানান, বুধবার সকালে তিনি কাজে যাওয়ার সময় দুই মেয়েকে স্কুলে দিয়ে যান। বিকেল ৪টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন ছোট মেয়ে মাদ্রাসায় পড়তে গিয়েছে। আর বাসার দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। তখন প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে রুমে ঢুকে দেখেন, ফ্যানের সাথে ঝুলছে মায়শা।
Discussion about this post