স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর ওয়ারীর একটি বাসা থেকে এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত তরুণীর নাম খাদিজা আক্তার কেয়া (২৫)। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ওয়ারীর র্যাংকিং স্ট্রিট, ১২/এ নম্বর বাড়ির ২য় তলা থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। বাড্ডার বড় বেড়াইদ চাদারটেক এলাকার মো. আক্তার মিয়ার মেয়ে খাদিজা। তবে পরিবারটি বর্তমানে ওয়ারীর ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। তার ছোট ভাই মো. ইমন হাসান জানান, দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মেজো ছিলেন খাদিজা। ৫-৬ বছর আগে তার স্বামীর সাথে তার ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকে ছয় বছরের মেয়ে আরোহীকে নিয়ে তাদের সাথে থাকতেন খাদিজা। তন্ময় নামে এক ব্যবসায়ীর সাথে তার দীর্ঘ আড়াই বছরের প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। তিনি তাকে বিয়ে করবে বলেও আশ্বস্ত করেছিলেন। তবে তন্ময় তাকে খুব সন্দেহ করতেন এবং খাদিজার বেডরুমে ৬ মাস আগে সিসিটিভি ক্যামেরাও লাগিয়েছেন এ কারণে। তিনি জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে কোন একটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এরপর অনেক কান্নাকাটি করেন খাদিজা। রুমের দরজা বন্ধ করা শুয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে পরিবারে লোকজন তাকে ডাকাডাকি করলে তিনি কোন সাড়াশব্দ করেননি। পরে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন তিনি। তখন থানায় খবর দেন তারা। মৃতদের সুরতহাল প্রতিবেদনে ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খালেদা আক্তার সাথী বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার পরে রুমের ভিতর খাদিজা ফাঁস দিয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
Discussion about this post