ঢাকা: ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে দেশের সরকারি দপ্তরগুলোতে একযোগে কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মচারীরা। অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলতে থাকবে। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১০টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন। সকাল ১১টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করবেন তারা। এর আগে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ের কর্মচারীরা প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবেন বলে গতকাল বুধবার ঘোষণা দেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা। একই সঙ্গে মাঠপর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সব দপ্তরে একই সময়ে এই কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানায় ঐক্য ফোরাম। দাবি পূরণ না হলে ৩১ মের পর থেকে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে গতকাল জানান ঐক্য ফোরামের নেতারা। ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর আজ বৃহস্পতিবার সকালে জানান, ‘ঘোষণা অনুযায়ী কর্মচারীরা সকল ১০টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। সচিবালয়ের বাইরের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মচারীরাও একযোগে এই কর্মসূচি পালন করছেন।’ কর্মবিরতির কর্মসূচি চলাকালে সচিবালয়ের কর্মচারী নেতারা শের-ই-বাংলা নগরে সরকারি দপ্তরগুলো পরিদর্শনে যাবেন বলেও জানান বাদিউল। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন হয়। এর পর থেকে এই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলনের মধ্যেই গত রোববার সন্ধ্যায় সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে সরকার। এই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে গত শনিবার থেকে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
Discussion about this post