ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকেট এবং ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেছে ডাক অধিদপ্তর। এই উপলক্ষে পাঁচ টাকা মূল্যমানে ডাটাকার্ড ও একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করা হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ শুক্রবার তার সরকারি বাসভবন থেকে স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত এবং ডাটা কার্ড ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেন। এই উপলক্ষে এক বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের বড় ছেলে শেখ কামাল বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী একজন মানুষ। ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত, সংগ্রামী ও আদর্শবাদী কর্মী হিসেবে ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি সমাজের পশ্চাত্পদ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে সমাজ চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণে মঞ্চ নাটক আন্দোলনের ক্ষেত্রে শেখ কামাল ছিলেন প্রথম সারির সংগঠক।’ মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘আমি নিজেও অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে ৭১‘র উত্তাল দিনগুলিতে আমার লেখা ‘এক নদী রক্ত’ নাটকে শেখ কামালের মতো একজন প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব অভিনয় করেছিলেন। সেই নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে তিনি আহতও হন।’ বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে খুব কাছে থেকে দেখা শেখ কামালের বর্ণাঢ্য জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘শেখ কামাল বন্ধু শিল্পীদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘স্পন্দন’ শিল্পীগোষ্ঠী। এছাড়া তিনি ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সাত রং নাট্যগোষ্ঠীরও সদস্য ছিলেন। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম ক্রীড়া সংগঠন ও আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে পুনরায় লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদত বরণের সময় তিনি সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের এমএ শেষ পর্বের পরীক্ষার্থী ছিলেন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।’
Discussion about this post