আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মেক্সিকোতে বারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন নারী। এছাড়া এই ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও কয়েকজন। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার (২১ জুলাই) রাতে এক ব্যক্তি ক্ষোভের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী সান লুইস রিও কলোরাডোতে এই হামলা চালান এবং এতে প্রাণহানির ওই ঘটনা ঘটে। রবিবার (২৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকোতে এক ব্যক্তি বারে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর ১১ জন নিহত হয়েছেন। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে বার থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে উত্তর আমেরিকার এই দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বার থেকে বের করে দেওয়ার পর মাতাল এক যুবক ওই বিয়ার হাউস বারে মোলোটভ ককটেল ছুড়ে মারেন। আর এতেই সেখানে আগুন ধরে যায় এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বার থেকে বের করে দেওয়ার আগে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি সেখানে নারীদের হয়রানি করছিলেন বলে জানা গেছে। সোনোরা প্রদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগুনে সাতজন পুরুষ ও চারজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আহত অন্য চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে সীমান্তের ওপারে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী- ঘটনার সময় একজন যুবক সেই বারে নারীদের উত্যক্ত করছিলেন এবং পরে তাকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি বাইরে থেকে বারে ককটেল নিক্ষেপ করেন। বারে নিক্ষেপ করা বস্তুটিকে এক ধরনের ‘মোলোটভ ককটেল’ বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবৃতিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি বা গ্রেপ্তারও করা যায়নি। রহস্য উদঘাটন করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং ‘সোনোরাতে, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়’।
Discussion about this post