ঢাকা : নীতি সহায়তার অভাবে রুগ্ন হচ্ছে দেশীয় তামাক চাষীরা, শতভাগ দেশীয় সিগারেট কোম্পানীর অস্তিত্বও বিলিন হওয়ার পথে। এ পরিস্থিতিতে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে দেশীয় মালিকানাধীন তামাক শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রতিযোগিতা আইনের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে লোকালি ওন্ড সিগারেট ম্যানুফেকচারার মালিক সমিতি। সংগঠনের পক্ষে নেতারা বলেন, তামাক শিল্পের মাত্র ১০ শতাংশ বাজার রয়েছে দেশীয় মালিকদের হাতে যেখানে প্রায় ৯০ শতাংশ বাজার দখলে বহুজাতিক কোম্পানির। সরকারের পাশ করা প্রতিযোগিতা আইন’ ২০১২ বাস্তবায়ন হলে বাজারে সব কোম্পানীরই সমান অংশগ্রহন নিশ্চিত করা যাবে, রাজস্ব ফাঁকি কমবে, সমতাভিত্তিক বাজার ব্যবস্থা থাকবে, রক্ষা পাবে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন তামাক শিল্প। কিন্তু এ আইন কার্যকর না করলে কৌশলে দেশীয় তামাক শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হবে। সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেন, দেশীয় তামাক শিল্প বাঁচাতে ২০১৭-১৮ দুটি মূল্যস্তর সৃষ্টি এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশীয় কোম্পানির নিম্নস্ল্যাব সংরক্ষিত রেখে বহুজাতিকদের জন্য আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডকে মধ্যমমানে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সরকার। কিন্তু অজানা কারণে এই দুটি সিদ্ধান্ত আলোর মুখ দেখেনি। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে এই দুটি সিদ্ধান্তের মধ্যে যে কোন একটি কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে লোকালি ওন্ড সিগারেট ম্যানুফেকচারার মালিক সমিতি। এর যে কোন একটি প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করা হলে চলতি বছরের সমপরিমাণ সিগারেট শলাকা বিক্রয় করে আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এ খাতে প্রাক্কলিত রাজস্ব আদায় বর্তমান অর্থ বছরের তুলনায় প্রায় ৩৮ শতাংশ বেশি হবে। তারা জানান, নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়ায় নকল সিগারেটেরও দাম বাড়ছে। দ্রুততার সঙ্গে সরকারের নীতি সহায়তা না পেলে এই শিল্প ধ্বংস হয়ে পড়লে প্রচুর মানুষ কর্মসংস্থান হারাবে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। বিদেশি কোম্পানীগুলোকে একচেটিয়া সুবিধা না দিয়ে দেশীয় শিল্পকে রুগ্ন হওয়া থেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করছে লোকালি ওন্ড সিগারেট ম্যানুফেকচারার মালিক সমিতি। রাইসুল হক পবনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন নাজমুন্নাহার লাকী। সংবাদ সম্মেলনে তামাক শিল্প সংশ্লিষ্ট ২০ প্রতিষ্ঠানর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আজ সকালে সংবাদ সম্মেলন।
Discussion about this post