ঢাকা: বাংলাদেশের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফিনল্যান্ড।আজ বুধবার (৮ জুন) বাংলাদেশে ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউক্কু-রন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারী বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তার দেশের এ আগ্রহের কথা জানান। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। নয়াদিল্লীতে অবস্থানরত রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-ফিনল্যান্ড কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মিরেল্লা মারিন-এর শুভেচ্ছা পত্র হস্তান্তর করেন। একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার ফিনিশ প্রতিপক্ষকেও শুভেচ্ছা জানান। রিতভা কাউক্কু-রন্ডে বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ফিনল্যান্ডের বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি নকিয়ার মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করা যেতে পারে।’ তিনি বলেছেন, তার দেশ জাতিসংঘের সংস্থাগুলোতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করবে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের জন্য স্থানীয় জনগণ অনেক কষ্ট পাচ্ছে।’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সীমান্তে কোনও ধরনের বিদ্রোহ মেনে নেবো না।’ প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭ সালে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সই এবং ১৮০০ সশস্ত্র ক্যাডার সেই সময় তাদের অস্ত্র সমর্পণ করেন বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ অনেক হাই-টেক পার্ক স্থাপন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলো এসব হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ করতে পারে।’ বৈঠকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আগে বিদেশ থেকে সার সংগ্রহ করতো, কিন্তু এখন যুদ্ধের কারণে শিপিং খরচ অনেক বেড়ে গেছে।’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের নিজস্ব উন্নয়নের জন্য উন্নত দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং দেশে কোনও আবাদি জমি অনাবাদি থাকবে না।’ এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনারারি কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ আজিজ খান উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post