ঢাকা : স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। গত বছরের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুর উদ্বোধন করেন। এর পরদিন, অর্থাৎ ২৬ জুন সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় সেতুটি। এই সেতু চালুর মধ্য দিয়ে রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়। চালুর পর থেকে চলতি মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত ৭৫৮ কোটি ৮ লাখ ৭৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে এই সেতুতে। এর মধ্যে গত বছরের জুলাই মাসে সর্বোচ্চ ৭৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে। সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। শোধ করা হয়েছে চার কিস্তির টাকা। আগামী ৩৫ বছরে অর্থাৎ ২০৫৭ সালে পর্যন্ত ১ শতাংশ সুদে ১৪০টি ত্রৈমাসিক কিস্তিতে শোধ করা হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। অর্থ বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ঋণ চুক্তি অনুযায়ী, ১ শতাংশ সুদসহ ৩৫ বছরে ঋণের টাকা ফেরত দেবে সেতু কর্তৃপক্ষ। অবশ্য ২০০৭ সালে প্রকল্প নেওয়ার সময় পদ্মা সেতুর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, এক বছরে যে আয় হয়েছে, তা আরও বাড়বে। কারণ, সেতুতে রেল চলাচল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও বিভিন্ন সেবা সংস্থার লাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রকল্পের টাকায়। পুরো ব্যয় এখন সেতু কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে। দুটি বিকল্প নিয়ে রেল ও বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা চলছে। রেল ও বিদ্যুতের জন্য প্রকল্পে যে ব্যয় হয়েছে, সেই টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়কে পরিশোধ করে দেবে। এ ছাড়া সেতু বিভাগকে বার্ষিক হারে টোল দেবে। এর বাইরে গ্যাস কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য সেবা সংস্থাও টোল দেবে।
Discussion about this post