ঢাকা: আগা খান স্থাপত্য পুরস্কারে দ্বিতীয়বার ভূষিত হওয়ায় প্রখ্যাত স্থপতি মারিনা তাবাসসুমকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অভিনন্দন বার্তায় বলেন, ‘এই বিরল ও ঐতিহাসিক অর্জন বাংলাদেশের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। নদীভাঙনে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য নির্মিত ‘খুদি বাড়ি’—একটি জলবায়ু-সহনশীল, সাশ্রয়ী এবং সহজে স্থানান্তরযোগ্য বাসস্থানের অনন্য উদ্ভাবন। এই প্রকল্পে আপনার কাজ মানবতার প্রতি সহানুভূতি ও সুদূরদর্শিতার এক উজ্জ্বল নিদর্শন। আপনি বিশ্বকে দেখিয়েছেন, স্থাপত্য কেবল রূপ ও নকশার বিষয় নয়, বরং এটি মর্যাদা, সহনশীলতা এবং মানবিক বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটি কার্যকর উপায়।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ঢাকার বায়ত উর রউফ মসজিদের জন্য ২০১৬ সালে আপনার প্রথম আগা খান পুরস্কার অর্জনের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। এটি ছিল এমন একটি মাইলফলক, যা স্থাপত্যে আধ্যাত্মিকতা, সম্প্রদায় ও সরলতার চিরন্তন মূল্যবোধকে তুলে ধরেছিল। সেই অর্জন বৈশ্বিক পরিসরে বাংলাদেশের স্থাপত্যচিন্তার এক নবযাত্রা সূচিত করেছিল, আর এবারের সম্মান সেই পথচলাকে আরও দৃঢ় ও সমৃদ্ধ করেছে।’প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই স্বীকৃতির মাধ্যমে আপনি আবারও বাংলাদেশকে সৃজনশীলতা ও সামাজিক উদ্ভাবনের বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরেছেন। প্রতিকূলতাকে সম্ভাবনায় রূপান্তর এবং সহানুভূতি ও টেকসই সমাধানে বিশ্বাস স্থাপনের ক্ষেত্রে আপনি একটি অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে আমি আপনার অসাধারণ অবদানের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পরিচালনা পরিষদের চেয়ারপারসন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের প্রধান পরামর্শক হিসেবে আপনার অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আপনার কাজ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্থপতি ও সমাজ পরিবর্তনকারীদের জন্য প্রেরণার আলো হয়ে জ্বলতে থাকুক—এই প্রত্যাশা রইল।’
Discussion about this post