ঢাকা: তুরস্ক–বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তুরস্কের সংসদ সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) রাষ্ট্র অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।সাক্ষাৎকালে উভয় পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক কর্মকাণ্ডে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন বিদ্যমান। তিনি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে।তিনি জানান, প্রতিনিধিদল গত রোববার (২ নভেম্বর) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং সেখানে তুর্কি সংস্থা ও এনজিওগুলোর মানবিক কার্যক্রম—বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের কার্যক্রম—পর্যবেক্ষণ করেছে।প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস তুরস্কের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ রপ্তানিমুখী উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে উন্নত দেশগুলোর বাজারে প্রবেশের বিশাল সম্ভাবনা ধারণ করে।”অধ্যাপক ইউনুস বলেন, “এই দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমি তুরস্কের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।”তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিশ্ব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের নিপীড়ন ও অন্যায়কে ভুলে যেতে পারে না।”প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “রোহিঙ্গা সংকট আমাদের সময়ের অন্যতম মর্মান্তিক মানবিক বিপর্যয়। তারা কেবল মুসলমান হওয়ার কারণে নিপীড়নের শিকার হয়েছে এবং নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আট বছর ধরে শিবিরে বসবাসরত এই জনগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষার সুযোগ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অত্যন্ত সীমিত—যা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার কারণ হতে পারে।”তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও ফার্স্ট লেডির প্রতি বাংলাদেশের প্রতি তাদের ধারাবাহিক সমর্থন ও সংহতির জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, বিশেষ করে মানবিক ও উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে।শেষে অধ্যাপক ইউনুস বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের দুই দেশের জনগণ ও অভিন্ন ভবিষ্যতের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে তুরস্কের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত।”
























































Discussion about this post