আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রবিবার দক্ষিণ-পূর্ব তাইওয়ানে ৬.৮ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দ্বীপের আবহাওয়া ব্যুরো বলেছে, ঘটনায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে যার ফলে একটি দোকান ধসে পড়েছে এবং পাহাড়ের রাস্তায় শত শত লোক আটকা পড়েছে। দ্বীপের আবহাওয়া ব্যুরো বলছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল তাইতুং কাউন্টিতে এবং একই এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় ৬.৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। তবে তাতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ রবিবারের ভূমিকম্পটি ৭.২ মাত্রায় এবং ১০ কিলোমিটার গভীরতায় পরিমাপ করেছে। তাইওয়ানের দমকল বিভাগ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৪৬ জন আহত হয়েছে। ইউলিতে ধসে পড়া একটি বিল্ডিং থেকে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আপরদিকে তিনটি লোকের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত সেতু থেকে পড়ে গেছে এবং তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাইওয়ান রেলওয়ে প্রশাসন বলেছে, প্ল্যাটফর্মের ছাউনির কিছু অংশ ধসে পড়ার পর পূর্ব তাইওয়ানের ডংলি স্টেশনে ছয়টি বগি রেল থেকে নেমে আসে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে দমকল বিভাগ জানিয়েছে। ছয়’শর বেশি মানুষ চিক এবং লিউশিশি পাহাড়ী এলাকায় রাস্তা অবরুদ্ধ হওয়ার কারণে আটকা পড়েছে। যদিও সেখানে কোন আহত হয়নি এবং উদ্ধারকারীরা রাস্তাগুলি পুনরায় চালু করার জন্য কাজ করছে বলে বিভাগ জানিয়েছে। মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র কম্পনের পর তাইওয়ানের জন্য সতর্কতা জারি করলেও পরে সতর্কতা তুলে নেয়। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা ওকিনাওয়া প্রিফেকচারের অংশে সুনামির সতর্কতা তুলে নিয়েছে। তাইওয়ান জুড়ে ভূমিকম্প অনুভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া ব্যুরো। বিশ্বের বৃহত্তম চুক্তিভিত্তিক চিপমেকার প্রতিষ্ঠান তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কো জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব তাদের এখানে নেই। তাইওয়ান দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে অবস্থিত এবং ভূমিকম্প প্রবণ। ২০১৬ সালে দক্ষিণ তাইওয়ানে এক ভূমিকম্পে ১০০ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছিল। এর আগে ১৯৯৯ সালে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।
Discussion about this post