ঢাকা : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরের গ্রাহকদের ‘সেট টপ বক্স’ স্থাপনের বাধ্যবাধকতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ঢাকার খিলগাঁওয়ের এক বাসিন্দার করা রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৩১ মে) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মোহাম্মদ মুশফিকুল হুদা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। গত ২৮ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, (ক) প্রথম ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে ক্যাবল নেটওয়ার্ক কার্যরক্রম ৩১ মের মধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর করতে হবে। অর্থাৎ গ্রাহকদের নিজেদের টেলিভিশনের সঙ্গে ‘সেট টপ বক্স’ সংযুক্ত করতে হবে। (খ) ‘সেট টপ বক্স’ ব্যবহারে গ্রাহকদের আগ্রহী করার জন্য সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও অন্যান্য মাধ্যম ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে এবং বিটিভির নির্মিত টিভিসি বেসরকারি টিভি চ্যানেল সমূহে বারংবার প্রচার করতে হবে। (গ) ক্যাবল নেটওয়ার্ক কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন নীতিমালা/গাইডলাইন প্রণয়নের জন্য ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ/ডিস্ট্রিবিউটররা এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ইম্পুট মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। এ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে এ রিট করেন ক্যাবল নেটওয়ার্কের গ্রাহক রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও গোড়ানের বাসিন্দা মো. আবুল কাউসার কল্পন। আইনজীবী খন্দকার মোহাম্মদ মুশফিকুল হুদা জানান, ক্যাবল নেটওয়ার্ক কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনের নীতিমালা তৈরি করতে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে ইমপুট চাওয়া হয়েছে। তার মানে এ সংক্রান্ত কোনো নীতিমালা নেই। প্রযুক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকার প্রস্তুত না। যেখানে নীতিমালা নেই, প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি যেখানে নেই, সেখানে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না। তিনি আরও জানান, প্রথমত ৩১ মের মধ্যে সেট টপ বক্স স্থাপন করার কথা বললেও এ দুই মহানগরীর বেশিরভাগ গ্রাহকই তা করেনি। তাছাড়া হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ না দিলে বুধবার থেকেই হয়তো সম্প্রচারে বাধা দিত। স্থগিতাদেশের ফলে এখন আর এটা হবে না রুলে এ সংক্রান্ত কোনো নীতিমালা না করে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরে গত ২৮ এপ্রিল দেওয়া সরকারের সিদ্ধান্ত কেন অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ, অসাংবিধানিক, বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং আইনি অবকাঠামো বা নীতিমালা না করে এভাবে বেআইনি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
Discussion about this post