জনগণের ঘাড়ে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছেন: ফখরুল

ঢাকা: দুর্নীতি করে রিজার্ভ ফাঁকা করে সরকার এখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণ নিয়ে জনগণের ঘাড়ে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এর আগে বলেছিলেন, আইএমএফের ঋণ লাগবে না। তাহলে এখন কেন নিচ্ছেন? কারণ, দুর্নীতি করে রিজার্ভ ফাঁকা করে ফেলেছেন। আর এখন আইএমএফের ঋণ পেয়ে পেয়ে ডুগডুগি বাজাচ্ছেন।’ ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার বিকালে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। ‘৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আইএমএফের ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ কীভাবে পরিশোধ করা হবে সেই প্রশ্নও তোলেন বিএনপি মহাসিচব। বলেন, ‘এই ঋণ কীভাবে শোধ করবেন? অথচ দেশের মানুষের টাকা পাচার করে বিদেশে ব্যবসা করার হিড়িক পড়েছে। একটি দেশে বাংলাদেশিদের বিনিয়োগের হিড়িক পড়েছে। সেখানকার শেয়ার ব্যবসাসহ নানান জায়গায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে।’ মির্জা ফখরুল সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘জনগণকে এখন আরেকটা ঋনের মধ্যে ফেলেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনগণের ওপর ঋণের বোঝাই চাপিয়ে দিয়েছে। আমরা করোনার সময় মেগা প্রকল্পগুলো বন্ধ করতে বলছিলাম।’ মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, বিরোধীদল দমনে সরকার ১৪ বছর ধরে গায়েবি মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুরনো মামলা সচল করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এভাবে গায়েবি মামলাকে বিরোধী দল দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। ১৪ বছর ধরে একই খেলা চলছে। কিন্তু মামলা দিয়ে দমানো যাবেনা। এখন গণসমাবেশে বাধা দেযা হচ্ছে। তারা জানে না প্রতিটি ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে গনআন্দোলনের মাধ্যমে। নূরে আলমদের রক্ত বৃথা যেতে দেয়া হবে না।’ এসময় নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে সরকারের পুরনো চেষ্টা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। জনগণের দাবি আদায়ে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গুম, খুন, নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের দ্বারা ১০ বছর আগে মায়ের ডাক নামে একটি সংগঠন হয়। এখন এর বিপরীতে মায়ের কান্না তৈরি করে পুরনো অলীক ইস্যুকে সামনে এনে চক্রান্ত করা হচ্ছে।’ জিয়াউর রহমানের মাজার সরিয়ে নেওয়ার কথা বলে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি এটাকে হালকা করে নিচ্ছে না। এর মাধ্যমে সরকার জনগনের নজর ভিন্ন দিকে নিতে চায়। তবে বিএনপি তা হতে দেবে না।’ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান। সভাপতি এসএম জিলানীর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিল, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, মুস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা মহানগর নেতা ইসরাক হোসেন, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ বক্তব্য দেন।