ঢাকা: শুরু হয়েছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ। আজ বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে এ ভোটগ্রহণ। বিরতিহীনভাবে যা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এই দফায় ২৬ জেলার ৬০ উপজেলায় হচ্ছে ভোট। নির্বাচনে ১৮০টি পদের বিপরীতে মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মূলত এ ধাপের ভোটের মধ্য দিয়েই ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত হওয়া ২০ উপজেলায় আগামী ৯ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে। চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় একজন চেয়ারম্যান, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জনসহ মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৮টি পৌরসভা ও ৮৭৪টি ইউনিয়নের দুই কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৫ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে সাত হাজার ৮২৫টি। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ১৬৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকছে। ভোটকেন্দ্রে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ১৯ হাজার ৪৭৮ জন, মোবাইল টিমে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ছয় হাজার তিনজন, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে দুই হাজার ৬৭৩ জন। সর্বমোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ৪১ হাজার ৩৭৯ জন। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে আজ বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত বোটসহ (নির্দিষ্ট রুটে চলাচলকারী ছাড়া) অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসি। দেশের ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়ে। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮ জন নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ২২ জন। ২১ মের এই ধাপে নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ। ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ৮৭টি উপজেলার নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৬.২৪ শতাংশ। প্রথম ধাপের রেকর্ডসংখ্যক কম ভোটার উপস্থিতির নির্বাচনের পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ইসি। এর পেছনে কৃষকদের ধান কাটা, বৃষ্টিসহ পাঁচটি কারণকে দায়ী করে পরে ধাপে ধাপে ভোটার উপস্থিতি আরো বাড়বে বলে আশাবাদী ছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পরের ধাপেও কাঙ্ক্ষিত ভোটার উপস্থিতি না বাড়ায় বিএনপির ভোট বর্জনকেই মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে ভোট করার সুযোগ থাকলেও স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বা মনোনয়ন দেয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ফলে আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। অন্যদিকে বিএনপির অল্প কিছু নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়লেও দলটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছে।
Discussion about this post