ঢাকা: খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) জৈষ্ঠ্য সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মূর্শেদীর গুলশানের বাড়ি তিন মাসের মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে হন্তান্তরের হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন চেম্বার আদালত। এতে গুলশানের বাড়ি সালাম মূর্শেদীরই থাকছে। রবিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের এই রায়ের ওপর আপিল বিভাগের আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি থাকবে। সালাম মূর্শেদীর আইনজীবীরা জানান, এর ফলে সালাম মূর্শেদীর বাড়ি এখন যেভাবে আছে সেই অবস্থায়তেই থাকবে। আদালতে এদিন সালাম মূর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা, এ্যাডভোকেট ব্যরিস্টার সাঈদ আবদুল্লাহ আল মামুন খান, এ্যাডভোকেট ড. তানজির মান্নান। আর রিট পিটিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। মূর্শেদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, রিটের মামলায় কখনো রায় হতে পারেনা। তাই এ রিটের মামলায় হাইকোর্ট যে বিতর্কিত রায় দিয়েছে তা বিরল ঘটনা। দেশ স্বাধীনের পর ৭২ সালের পর এ ধরনের বিতর্কিত রায় এটিই দেশে প্রথম। তিনি বলেন, এবান্ডান্ট প্রোপার্টি- এই প্রোপার্টি কিভাবে এবান্ডান্ট ঘোষণা ও রিলিজ করা যায় সেই বিষয়ে আপিলেট ডিভিশন ও হাইকোর্ট ডিভিশনের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা রয়েছে। এবিষয়ে তিনি সাংবাদিক আবেদ খানের বাড়ির মামলার বিষয় উল্লেখ করে বলেন, যে ব্যক্তি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত বা বাড়ির মালিক তাঁর কথা না শুনে কিংবা ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই না করে এই আদালত বিতর্কিত রায় দিতে পারে না। সালাম মূর্শেদী একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তিনবারের এমপি, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। সুনামের সঙ্গে দেশে ব্যবসা- বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছেন। রাজউকের নিয়ম অনুসরণ করে তিনি এ বাড়ি কিনে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে সেখানে বসবাস করে আসছেন। এছাড়া সব ধরনের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ ও ট্যাক্স প্রদান করে আসছেন।
Discussion about this post