আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিদেশে উন্নত জীবনযাত্রা, ভালো কর্মসংস্থান ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেতে আমেরিকায় স্থায়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেক বাংলাদেশিই। এই স্বপ্ন পূরণের অন্যতম পথ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) লটারি প্রোগ্রাম। তবে ২০২৬ সালের ডিভি লটারি প্রক্রিয়ায় বড় দুঃসংবাদ নিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর (U.S. State Department)।নভেম্বর ২০২৫-এর ভিসা বুলেটিন অনুযায়ী, এই বছর ডিভি লটারির আবেদন প্রক্রিয়া থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ, ২০২৬ সালের ডিভি লটারির জন্য বাংলাদেশিরা আর আবেদন করতে পারবেন না। শুধু বাংলাদেশই নয়, উচ্চ অভিবাসন হারের কারণে ভারত, পাকিস্তান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকরাও এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, এশিয়ার ২৭টি দেশ ২০২৬ সালের ডিভি লটারিতে আবেদন করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে— আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, বার্মা (মিয়ানমার), কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, ইসরায়েল, জাপান, জর্ডান, কুয়েত, লাওস, লেবানন, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, পূর্ব তিমুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইয়েমেন ও বাহরাইন।ডিভি লটারি কী?ডাইভারসিটি ভিসা বা ডিভি লটারি হলো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পরিচালিত একটি অভিবাসন প্রোগ্রাম, যা প্রতিবছর নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার (গ্রিন কার্ড) সুযোগ তৈরি করে। এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য— যুক্তরাষ্ট্রে কম অভিবাসনহারের দেশগুলো থেকে বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠী নিয়ে আসা। প্রতি বছর এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ৫৫ হাজার ব্যক্তিকে গ্রিন কার্ড দেওয়া হয়।তবে ডিভি লটারির যোগ্যতা নির্ধারণে একটি প্রধান শর্ত হলো— আবেদনকারী দেশের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন হার কম হতে হবে। গত পাঁচ বছরে যেসব দেশ থেকে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন করেছেন, সেই দেশগুলোর নাগরিকরা এই লটারিতে আবেদন করতে পারেন না।বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ হারে অভিবাসন হওয়ায় এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যাঁরা এই সুযোগে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন, তাঁদের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা।
Discussion about this post