ঢাকা : বিশিষ্ট সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও স্বাধীনতাপদকপ্রাপ্ত লেখক আব্দুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে আমার বহু স্মৃতি। অনেক পরামর্শ পেয়েছি। একজন বিজ্ঞ ও পুরোধা ব্যক্তিত্বকে হারালাম, যিনি তাঁর লেখা ও গবেষণায় আমাদের বাঙালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানের রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী তাঁর মেধা-কর্ম ও লেখনিতে এই দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখেছেন। বাঙালীর অসাম্প্রদায়িক মননকে ধারণ করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে সমর্থন করে জাতির সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত সাপ্তাহিক জয় বাংলা পত্রিকায় বিভিন্ন লেখালেখির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। পরে তিনি প্রবাসে থেকেও তাঁর লেখনীর মাধ্যমে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী।যুক্তরাজ্যের সাংস্কৃতিক সংগঠক ও গাফফার চৌধুরীর পারিবারিক ঘনিষ্টজন ইয়াসমিন মাহমুদ পলিন গণমাধ্যমকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ৮৭ বছর বয়সী গাফফার চৌধুরী ১৯৭৪ সালের অক্টোবর থেকে ব্রিটেনে বসবাস করছিলেন। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে ছিলেন। গাফফার চৌধুরীর ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি-এর রচয়িতা। স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর সরকারে মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা ‘সাপ্তাহিক জয় বাংলার’ প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন তিনি। আবদুল গাফফার চৌধুরী ১২ ডিসেম্বর ১৯৩৪ সালে বরিশালের উলানিয়ার চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হাজি ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা মোসাম্মৎ জহুরা খাতুন।
Discussion about this post