ঢাকা: ভারতের ওড়িশা ও খুলনা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। আগামীকাল শুক্রবার সকাল নাগাদ দিক পরিবর্তন করে কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধাবিত হতে পারে। বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা, পায়রা এবং সমুদ্র বন্দর সমুহের নিকটে ও গভীর সাগর অবস্থানরত সব মাছধরা ট্রলার এবং নৌকা সমূহকে উপকূলের কাছে থেকে সাবধানে চলাচলের করতে বলা হয়েছে। সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ করতেন না করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ এখনো পর্যন্ত কক্সবাজারের দিকে ধাবিত হয়নি। এটা এখন খুলনা ও ভারতের ওড়িশার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এটি আগামীকাল (১২ তারিখ) সকাল নাগাদ উত্তর ও পূর্ব দিকে মোড় নিতে পারে। তখন কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের দিকে ধাবিত হতে পারে। মোখা আজকে সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটার গতি কখনো স্লো হয়ে যাচ্ছে, আবার কখনো বেড়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি প্রতি ঘণ্টা ৮ কিলোমিটার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ধাবিত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের চারপাশে যে বাতাস তার গতি ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি যখন আঘাত হানবে তখন তার গতি হতে পারে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার। এটা ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এটির প্রভাব কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর উপকূলে অঞ্চলে পড়বে। আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী রবিবার (১৪ মে) বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মোখা স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি মিয়ানমারে আঘাত হানার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আবহাওয়া অফিসের ৫ নম্বর বুলেটিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
Discussion about this post