ঢাকা: আজ শনিবার (১৮ জুন) ভারত সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, শনিবার দুপুরে ভারতের উদ্দেশে রওনা হবেন ড. মোমেন। দুই দিনের সফরের শুরুর দিন ড. মোমেন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরদিন অনুষ্ঠেয় জেসিসি বৈঠকে ঢাকার পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ও নয়াদিল্লির পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নেতৃত্ব দেবেন। বৈঠকে উভয়পক্ষের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে বাণিজ্য, কানেক্টিভিটি, পানি, জ্বালানি, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুসহ নতুন নতুন অনেক ক্ষেত্রে একে অপরকে সহযোগিতার বিষয় উঠে আসবে। ঢাকার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফর চূড়ান্ত করাসহ হাজার হাজার কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দেশটিতে গ্রেপ্তার পি কে হালদারকে বাংলাদেশে দ্রুত ফেরত আনতে নয়াদিল্লির সহযোগিতা চাওয়া হবে। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস বলেন, দ্বিপক্ষীয় এজেন্ডায় যা যা আছে সবই থাকছে। ট্রেড আছে, কানেক্টিভিটি আছে, কমার্স সেক্টর কোঅপারেশন, ওয়াটার কানেক্টিভিটি আছে, সেখানে তিস্তা, কুশিয়ারা, ছয়টি অভিন্ন নদীসহ সব থাকবে। এছাড়া আইসিটি, ফুড সিকিউরিটি রয়েছে, রিনিউয়েবল এনার্জি, ক্লাইমেট ইস্যু আছে। সচিব মাশফি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনেকগুলো বৈঠক হয়েছে। ওই সব বৈঠকে যেসব বিষয় অমীমাংসিত ছিল বা আটকে রয়েছে সেগুলো নিয়েও আলোচনা হবে। এর আগে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বৈঠকের ফলাফল নিয়েও আলোচনা হবে এবং দিকনির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, মোমেন-জয়শঙ্কর বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর চূড়ান্ত হবে। তাছাড়া বৈঠকে তিস্তা প্রসঙ্গ তোলাসহ আলোচনাধীন কুশিয়ারা নদীর পানি উত্তোলন বিষয়টি সুরাহার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের প্রস্তুতির তাগাদা দেবে ঢাকা। ২০১২ সালে নয়াদিল্লিতে প্রথম জেসিসি বৈঠকে বসে বাংলাদেশ-ভারত। গত ১০ বছরে মোট ছয়বার জেসিসি বৈঠক হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে করোনা মহামারির মধ্যে ঢাকার নেতৃত্বে ভার্চুয়ালি জেসিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সপ্তম জেসিসি বৈঠকটি গত ৩০ মে হওয়ার কথা থাকলেও পরে সেটি পিছিয়ে যায়। জেসিসি বৈঠক শেষে সোমবার (২০ জুন) ড. মোমেনের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
Discussion about this post