পাবনা প্রতিনিধি: প্রবীন সাংবাদিক দৈনিক সংবাদের ষ্টাফ রিপোর্টার পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান স্বপনের উপর আবারও হামলার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। বুধবার রাতের এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সাঁথিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন তিনি। সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপন জানান, বুধবার রাত ৯ টার দিকে সাঁথিয়া থানার সামনে ডাক্তার মনসুরুল ইসলামের বাসা থেকে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাসভবন যাবার সময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে পৌছালে কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী গতিরোধ করার চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি আঁচ করতে পারায় মোটরসাইকেলের গতি বৃদ্ধি করে তাদের অতিক্রম করার চেষ্টা করলে তারা লাথি দিয়ে মোটরসাইকেল ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তার মোটর সাইকেলের পিছনে বসা ছিলেন এড: শাহাদৎ হোসেন বকুল। তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এমন পরিকল্পনা করেন। হাবিবুর রহমান স্বপন এ ঘটনায় হাসিবুর রহমান খান সানা, রুবেল সরদার, জাহিদুল আলম নয়ন, মিনারুল ইসলাম বিষু ও শেখ মেহেদী হাসানের নাম উল্লেখ করে সাঁথিয়া থানায় জিডি করেন। তিনি আরো জানান, সম্প্রতি সাঁথিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যানার কেড়ে নেওয়ার সচিত্র প্রতিবেদন দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত হওয়ার পর একটি মহল ক্ষুব্ধ হয়। তারা বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই সংবাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মন্ত্যব্য পোষ্টও করেন। এ ঘটনার পরপরই রাতেই সাঁথিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক মিয়া রানা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন রানাসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ তার বাসভবনে উপস্থিত হয়ে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ সময় থানা পুলিশ তাঁর বাসায় গিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করেন। বিষয়টি নিয়ে পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান ও সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার মূল হোতাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেছেন। একই সাথে হাবিবুর রহমান স্বপনসহ পেশাদার সাংবাদিকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোরও দাবি জানিয়েছেন তারা। উল্লেখ্য ২০১৮ সালের অক্টোবরে সংবাদ প্রকাশের জেরে হাবিবুর রহমান স্বপনকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে মন্ত্রাসীরা।
Discussion about this post