ঢাকা : ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে অস্ত্র আইনে করা মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর দিকে সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জোবায়ের আহাম্মেদের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২০ মে) দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর সবুজবাগ থানায় অস্ত্র, মাদক ও সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় পৃথক তিন মামলায় পাঁচ দিন করে ১৫ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহনা আলমগীর অস্ত্র মামলায় তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া মাদক মামলায় রিমান্ড নামঞ্জুর ও সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এদিকে আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহনা আলমগীরের আদালত শুনানি শেষে জোবায়ের আহাম্মেদের জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন জোবায়েরকে সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড আবেদন নাকচ করে জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে মাদক, অস্ত্র ও সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করে র্যাব। এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জোবায়ের আহাম্মেদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে অরেকটি মামলা করে র্যাব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে কিছু লোক চাঁদাবাজি করে আসছেন- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৮ মে দিনগত রাত ৩টায় রাজধানীর সবুজবাগে অভিযান চালায় র্যাব। এসময় ছাত্রলীগ নেতা সাঈদীকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, দুই রাউন্ড গুলি ও ৫৭৮ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। এরপর সাঈদীকে নিয়ে অভিযানে নামে র্যাব। অভিযান শেষে র্যাব সদস্যরা রাস্তায় বের হলে ছাত্রলীগ নেতা জোবায়ের আহাম্মেদের নেতৃত্বে ১৫০-২০০ জন সাঈদীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন র্যাবের আভিযানিক দল আত্মরক্ষার্থে ও সরকারী দায়িত্ব পালনের জন্য জোবায়ের আহাম্মেদকে গ্রেফতার করলে অন্যরা ছত্রভঙ্গ হয় যায়। তবে সেসময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
Discussion about this post