ঢাকা : তথ্য গোপন করে দিয়ে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য বাবা আমির হামজার নাম প্রস্তাবের অভিযোগে উপসচিব মো. আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে। ২৪তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বর্তমানে খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। সূত্র জানায়, আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে ‘ভুল তথ্য’ দিয়ে সহায়তার অভিযোগে বিভাগীয় মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে মামলাটি এখনো হয়নি, প্রক্রিয়াধীন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চলতি বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। সেখানে ১০ ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকায় ছিল প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মো. আমির হামজার নাম। তাকে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারে মনোনীত করা হয়। ওই ঘোষণার পর আমির হামজাকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এরই মধ্যে গণমাধ্যমমে প্রকাশ হয় একটি খুনের মামলায় আমির হামজার সাজা পাওয়ার তথ্য। এমন কাউকে পুরস্কারে মনোনীত করা নিয়ে তীব্র হয় সমালোচনা। এদিকে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় সাহিত্যে বলার মতো কোনো অবদান নেই আমির হামজার। তিনি মাত্র দুটি বই লিখেছেন। অভিযোগ ওঠে, আমির হামজার ছেলে মো.আছাদুজ্জামান তাঁর বাবার জন্য সরকার নির্ধারিত ফরম পূরণ করেন। আর তাতে সুপারিশ করেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ। বাণিজ্যসচিব জাতীয় পুরস্কার দেওয়ার জন্য ১৬ জন সচিবের সমন্বয়ে গড়া ‘প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি’র সদস্য। এরপর আমির হামজাকে বাদ দিয়ে এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার দেয় সরকার।
Discussion about this post