মাদারীপুর প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের পেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান বলেছেন, “আগামী জুনের যে কোন দিন চালু হবে পদ্মা সেতু। ঈদের ছুটি শেষে দিন তারিখ নির্ধারণ করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।” মঙ্গলবার সকালে মাদারীপুর পৌর ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় শাজাহান খান আরো বলেন, “দক্ষিনাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ জুনের মধ্যেই পদ্মা সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। পদ্মা সেতু চালুর সময় রেল লাইন চালু করা সম্ভব হবে না। রেল লাইন পদ্মা সেতু চালুর পরে হবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এছাড়া পদ্মা সেতু চালুর আগেই সেতুর টোল নির্ধারণ করা হবে।” আওয়ামী লীগের পেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলেন, “১৯৯৩ সালে ২৫ অক্টোবর প্রথম পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা জাতীয় সংসদে প্রস্তাব দিলেও তৎকালীন সরকার তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। দক্ষিনাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল এই সেতু নির্মাণ।” নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পেরে গর্বিত মনে করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। মাদারীপুর পৌরসভার আয়োজনে সকাল ৮টায় ঈদগাহ মাঠে ঈদ-উল-ফিরত-এর জামাত পড়ান জেলা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ইলিয়াস হাবিবুল্লাহ। এতে অংশ নেন আওয়ামী লীগের পেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান, মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, জেলা বিএনপির আহবায়ক জাহান্দার আলী জাহানসহ কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লী। নামাজ আদায় শেষে একে অপরে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। করোনাকালে দুই বছর বৃহৎ পরিসরে ঈদের নামাজ আদায়ে বিধি নিষেধ থাকলেও এবার স্বস্তি ফিরে আসে সবার মাঝে।
Discussion about this post